জোয়ারে ভোলায় ২০ গ্রাম প্লাবিত
জেলা প্রতিনিধি:
উপকূলীয় এলাকা ভোলায় সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে অতি জোয়ারের পানিতে অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন হাজারো মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হতে চলছে কৃষকের ফসলি জমি।
জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে ভোলার নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তলিয়ে গেছে দৌলতখান উপজেলার হাজিপুর, নেয়ামতপুর ও মেদুয়া ইউনিয়নের আটটি গ্রাম। চরফ্যাশনের কুকরী-মুকরী, ঢালচর, চর পাতিলাসহ ছয়টি গ্রাম এবং মনপুরা উপজেলার কলাতলী, চর নিজাম ও ঢালচরসহ ছয়টি গ্রাম।
ভোলা দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা দপ্তরের পরিচালক মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ভোলায় তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত চলছে। যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তত রাখা হয়েছে। এছাড়াও লোকজনকে সতর্কস্থানে থাকতে বলা হয়েছে। নিম্নচাপের প্রভাবে এ বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করছে।
ঢালচর ইউপি চেয়ারম্যান কামাল পাটোয়ারী বলেন, ঢালচর ইউনিয়নের নিচু অধিকাংশ এলাকায় প্লাবিত হয়েছে। বিকেল থেকে ঝড়ো বাতাস বইছে, এতে নদী ও সাগর উত্তাল রয়েছে। এছাড়া, কুকরী-মুকরী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাশেম জানান, গত তিন দিন ধরে প্রবল জোয়ারে কুকরী-মুকরীর বেশিরভাগ এলাকা প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন মানুষ।
এদিকে সোমবার সকাল থেকে জেলাজুড়ে মাঝে মাঝে ঝড়ো বাতাস, কখনো ভারীবর্ষণ হচ্ছে। এতে উত্তাল হয়ে উঠেছে নদী মোহনা। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় জেলে নৌকা ও ট্রলারগুলো তীরের কাছাকাছি এসে অবস্থান করতে দেখা গেছে। কেউ আবার বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে নদীতে মাছ শিকার করছে।